পোলট্রি বর্তমান সময়ে মাংশের চাহিদা পুরনে একটা বিরাট স্থান দখল করে আছে ।এই পোলট্রি যদি আমাদের দেশে না আসত তাহলে আমরা হয়ত মাসে দুই তিনবার গরু খাসি বা দেশি মুরগী খেতাম ।কিন্তু এই ব্রয়লার ,সোনালী ,লেয়ার সহ যেসব মুরগী বাণিজ্যিক উৎপাদন করা হচ্ছে তাদের কল্যাণে আমরা আজ প্রতিদিন ই মাংশ ডিম খাচ্ছি ।কিন্তু আমরা কেও কি ভেবে দেখছি যে এইগুলো কতটুকু স্বাস্থ্য উপযোগী ?
আসলে পোলট্রি খাওয়াতে কিন্তু কোন সমস্যা নাই ।সমস্যা কথায় জানেন? সমস্যা হল আমাদের রক্ষণাবেক্ষণে ।সবচেয়ে বেশি ঔষধ লাগে ব্রয়লারে ।বলা হয় ঔষধ ছাড়া একদিন ও রাখা যায় না ।কিন্তু মানুষের এই ধারনা ভুল ।আমরা আমাদের ফার্ম টাকে সঠিক উপায়ে রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারিনা বলে আমরা এই কথা বলে থাকি
পোল্ট্রিতে যে ঔষধ গুলো ব্যাবহার করা হয় সেখানে অনেক ঔষধের গায়েই প্রত্যাহার কাল দেওয়া থাকে ।কিন্তু আমরা এই প্রত্যাহার কাল কেও মানি না ।আমরা ঔষধ খাওয়াই আর বিক্রি করি ।এতে করে মুরগীর মাংসের মধ্যে দিয়ে বিষাক্ত পদার্থ গুলো আমাদের শরীরে খুব সহজে প্রবেশ করে ।মানে টাকা দিয়ে আমরা বিষ কিনে খাচ্ছি ।আমাদের শরীরের কান্সার সৃষ্টির কারণ গুলো আমাদের খাবারেই অবস্থান করে । এই বিষাক্ত পদার্থ গুলো শরীরে গিয়ে শরীরের স্বাভাবিক কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া কে বাধাগ্রস্থ করে অস্বাভাবিক কোষ বিভাজন শুরু করে ফলে ক্যান্সার তথা টিউমার কোষের যাত্রা শুরু হয় ।
তবে সোনালী ও লেয়ার মুরগি কিন্তু এক্ষেত্রে এক ধাপ এগিয়ে ।সোনালী ও লেয়ার মুরগি বড় রকমের অসুখ না হলে কিন্তু ওষুধ ছাড়াই চলতে পারে।সোনালী মুরগী দেশী মুরগীর মতই সোনালী মুরগীর মাংস অনেক টেস্ট ।এরা দেশী মুরগীর মত বাহিরেও চলতে পারে ।ডিম দেয় অনেক ।মুরগী বড় হয়ে গেলে অসুখ হয় না বললেই চলে ।এই মুরগীর দাম ব্রয়লার এর চেয়ে একটু বেশি ।আপাত দৃষ্টিতে সোনালী ও দেশী মুরগীর পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যায় না । লেয়ার মুরগী ত বুড়া হলে বিক্রি করা হয় ।আর সোনালী বা কক এরা সাধারনত ১৫ থেকে ৪০ দিন পর্যন্ত এন্টিবায়োটিক খাওয়ানোর মত রোগে আক্রান্ত হয় ।কিন্তু এটা ৬০দিন পর বিক্রি হয় ।এতে করে এই মাংস গুলো ক্ষতিকর পদার্থ মুক্ত থাকে ।
আমাদের দেশ চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি পোলট্রি উৎপাদন করতে পারে ।চায়না ব্রাজিল থেকে পোল্ট্রি মাংস আমদানি করে কিন্তু আমাদের দেশ চাহিদার অতিরিক্ত থাকা সত্তেও রপ্তানি করে না ।এতে খামারীরা ক্ষতি গ্রস্থ হয় ।আমাদের কৃষিকে টিকিয়ে রাখতে রপ্তানিকারকদের সুদৃষ্টি কামনা করি ।
আমাদের দেশে উপজেলা পর্যায়ে ভিটিরিনারী সার্জন থাকলেও খামারীরা উপযুক্ত প্রশিক্ষনের অভাবে খামার ব্যাবস্থাপনার কাজটি সঠিক ভাবে করতে পারছে না ।আমাদের স্বাস্থ্য বাঁচাতে অবশই খামারীদের উচিত খামার ব্যাবস্থাপনার সঠিক শিক্ষা নিয়ে খামার ব্যবস্থাপনা করা এতে আপনার খামার ও স্বাস্থ্য দুটোই বাঁচবে ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
0
মন্তব্যসমূহ
টাকার চেয়ে জীবনের মূল্য মনে হয় একটু বেশিই ।ফল ত খাবই এবার ফরমালিন ছাড়াই খাব ।
0 মন্তব্যসমূহ