
সাধারনত আমাদের দেশে শীতকালে খেজুরের রস এবং গুর উৎপন্ন হয়ে থাকে ।যারা খেজুরের গাছ লাগান তাদের আমাদের আঞ্চলিক ভাষায় গাইচি বলা হয় । এখন ত মানুষ রাসয়নিক উপায়ে বা নানা রকম ভেজাল মিশ্রিত করে খেজুরের গুর বানানো হচ্ছে । কৃষক বা গাইচি যে ভাবে খেজুরের গুর বানান তাতে পাটালী গুর বানাতে কেমিকেল বা রাসায়নিক এবং ভেজাল হিসেবে চিনি ব্যাবহার করা হয় ।
খেজুরের গুর দিয়ে আমরা সাধারণত নানা রকম পিঠা খাই আর যে রস দিয়ে গুর বানাই সেই রস আমরা সকালে মুড়ি দিয়ে খাই যা ব্যাপক স্বাদ ।পিঠা সাধারনত চিনি দিয়েও খাওয়া যায় কিন্তু চিনি আর খেজুরের গুরের পিঠার স্বাদ রাত দিন তফাৎ থাকে ।খেজুরের গুর দিয়ে সাধারণত পাকান পিঠা,চিতা পিঠা রসে ভিজায়ে রস পিঠা বলে যাকে,তাল পিঠা ,নারিকেলের নাড়ু,ভাপা পিঠা, নানান রকম কেক ও বানানো হয় ।তাই বাজারে খেজুরের গুঁড়ের চাহিদা অনেক ।আর এই চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম হওয়াতে মানুষ বেশি মুনাফার আসায় খেজুরের গুঁড়ে ভেজাল মিশাতে থাকে ।
আমরা ছোট বেলায় দেখতাম মানুষ সুন্দর করে রসের হারি পরিস্কার করে প্রতিদিন দুপুর ১২ টা থেকে খেজুরের গাছ লাগানোর কাজ করত ।এই রস প্রতিদিন সকালে গাছ থেকে নামানো হত । পাটালী গুর বানাতে হলে ফিটকারি এবং হাইডোস দিতেই হত কারন মানুষ কালো গুর কিনতে চাইত না বা দাম কম দিত ।এখন ভেজাল হিসেবে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে সেটা হলো চিনি ।সেই সাথে মানুষ এখন আর পরিষ্কারের দিকে নজরটাও কম দেয় ।
এখন কথা হল আপনি কি তাইলে খাবেন না ? অবশ্যই খাবেন ।আপনাদের জন্য আমার পরামর্শ থাকবে আপনারা বিশ্বস্ত মানুষের কাছ থেকে বেশি দাম দিয়ে খেজুরের পাটালী গুঁড় না কিনে খেজুরের লালি গুঁড় কিনবেন ।তাইলে আপনি রাসায়নিক মুক্ত ভালো গুর পাবেন ।তবে অসৎ লোকের পাল্লায় পরলে চিনি মেশানো ভেজাল গুঁড় ও পেতে পারেন তবে লালি গুড় খাঁটি এবং ভালো হয় ।আপনারা চাইলে আমার কাছ থেকেও নিতে পারেন ।আমার পণ্য বি এস টি আই নেই কিন্তু গুনে মানে প্রিমিয়াম কোয়ালিটি ।একেবারে অরগানিক।
0 মন্তব্যসমূহ