আমাদের এক সময় মধু খাওয়ার জন্য প্রাকৃতিক চাকের উপর নির্ভর করতে হত ।কিন্তু বিজ্ঞানের কল্যাণ আর আমাদের জ্ঞানের প্রসারনের ফলে আমরা এখন বন্য কীট পতঙ্গকে বসীভুত করে আমরা মানুষের কল্যাণে কাজে লাগাচ্ছি । তার ই ফলশ্রুতিতে আমরা এখন মৌমাছি কে বশীভূত করে আমাদের লোভনীয় ও পুস্টি গুন সমৃদ্ধ খাবার মধু উৎপাদন করছি ।
সরিষা ফুলের মধু উৎপাদন করা হয় মূলত মৌমাছি গুলোকে বাক্সে রেখে। যেখানে সরিষা ক্ষেতের জমি আছে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয় ।মৌমাছি গুলো ঐ সরিষা জমি থেকে মধু সংগ্রহ করে বলে ঐ মধুকে সরিষা ফুলের মধু বলা হয় ।যত মধু উৎপাদিত হয় তার একটা বড় অংশ জুরে সরিষা ফুলের মধু উৎপাদিত হয় ।বিভিন্ন ব্রান্ডের কম্পানি গুলো এই সরিষা ফুলের মধু ই সংগ্রহ করে থাকে এবং তা রিফাইন করে আপনাদের সামনে নিয়ে আসে মানে বাজারজাত করা করা হয় ।মধু রিফাইন করার যন্ত্র আছে এই রিফাইন হয় মূলত বিভিন্ন উপাদানকে একটা আদর্শ মাত্রায় নিয়ে আসার জন্য।এই কাজটা করে মূলত বড় বড় কোম্পানি গুলো।আমাদের কিন্তু এই যন্ত্র নাই আমরা মুলত মধুকে আগুনে জাল করি এবং মধুর ঘনত্ব কে একটা আদর্শ মাত্রায় নিয়ে এসে সংরক্ষন করি ।
সামনে সরিষা ফুলের মধুর সিজন আপনারা যদি মনে করেন কোন প্রকার রিফাইন ছাড়া মধু নিবেন আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ।সরাসরি বাক্স থেকে যে মধু পাওয়া যাবে তা সাদা ডালডার মত হবে ,জমে যাবে ,মিশ্রির মত হবে তবে মিশ্রির মত শক্ত হবে না ।বোতলে রাখা যাবে না রাখলে বোতল কেটে বের করতে হবে ।বেশিদিন মানে দুই মাসের বেশি রাখা যাবে না রাখলে কিছু হবে না কিন্তু একটু গন্ধ হতে পারে ।এই হলো টাটকা সরিষা ফুলের মধুর অবস্থা ।এই মধুটা মুড়ি দিয়ে মাখিয়ে খেতে ভীষণ স্বাদ ।রিফাইনের চেয়ে টাটকা মধুর স্বাদ আমার অনেক বেশি এবং ন্যাচারাল।
এই মধু সাধারনত আমরা ড্রামে করে সংরক্ষণ করি এবং তা আগুনে জাল দিয়ে বাজারজাত করা হয় ।মধুতে ভেজাল করলে কারো ক্ষমতা নাই যে এইটা ভেজাল মধু প্রমান করে দেয় । এই মধু চাক থেকে সংগ্রহও করার নিয়ম সাধারণত পনের দিন পর পর তাহলে মধুর কোয়ালিটি ভালো হয় কিন্তু মানুষে সাত দিন পরই সংগ্রহ করে এতে পনের দিনে দিগুন মধু সংগ্রহ করা যায় ।তাই চাষিরা বেশি মুনাফা লাভের আশায় এবং দামটা সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্যই তারাতারি মধু মৌচাক থেকে সরিয়ে নেয়ে । আপনারা যদি ভালো কোয়ালিটির মধু নিতে চান তাহলে প্রি অর্ডার করতে হবে কারন বাজারে এই মধুর চাহিদা থাকলেও বেশি দামের কথা শুনলে কেও আর কিনতে চায় না । তবে আপাত দৃষ্টিতে সমায়ের ব্যবধানের ভিত্তিতে যে মধু সংগ্রহ করা হয় তাতে মধুর কোয়ালিটির পার্থক্য নির্ণয় করা যায় না ।কারন সব মধুকেই প্রক্রিয়াকরন করন করে নানান রকম মান বানানো যায় ।তবে চাকে যে মধু পনের দিন থাকে তার পুস্টিগুন সবসময় বেশি থাকে ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
0
মন্তব্যসমূহ
টাকার চেয়ে জীবনের মূল্য মনে হয় একটু বেশিই ।ফল ত খাবই এবার ফরমালিন ছাড়াই খাব ।
0 মন্তব্যসমূহ