সবজি না বিষ কোনটা খাচ্ছেন আপনি

সবজি

 সবজি নিয়ে কিছু কথা বলে যাই ।ধরুন ট্মেটু ,সিম, বেগুন ।এই সবজি চাষ করা একটু বেশি কঠিন মানে কীটনাশক ছাড়া চলেই না ।এক্ষেত্রে প্রত্যেক ঔষধের প্রত্যাহার কাল বা বিরতি কাল থাকে যার মানে হল ঔষধ ছিটানোর পর পাঁচ দিন বা সাত দিন পর সবজি উঠাতে হবে কিন্তু আমাদের কৃষক কীটনাশক ছিটানোর পরদিন ই বেগুন বা সিম বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে আসে ।আসলে এটা আমাদের ব্যাবস্থাপনার সমস্যা ।কিন্তু তাই বলে কি আমরা খাব না ? অবশ্যই খাব ।তবে এ ব্যাপারে আমাদের দেশে একটা কৃষি পূরনাংগ কৃষি বিশ্ব বিদ্যালয় সহ বেশ কিছু কৃষি ইন্সটিটিঊট আছে এবং প্রত্যেক উপজেলায় একজন করে কৃষি কর্মকর্তা সহ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আছেন তারা যদি কৃষক পরামর্শ দেন তাহলে আমরা সবজি নামক যে বিষ খাচ্ছি তা থেকে রেহাই পেতে পারি ।আমরা বাজারে গেলে চকচকে ও বড় বড় দেখে সবজি কিনি কিন্তু এই সবজি গুলোতেই সবচেয়ে বেশি সার ও বিষ প্রয়োগ করা হয় ।তবে বেগুন সবজি এগুলো তে ফরমালিন দেওয়া গেলেও কখনো আমরা ফরমালিন দেওয়ার কথা শুনি নাই ।কিন্তু ট্মেটো ব্যাপারখানা আমার কাছে ভয়নক মনে হয়েছে ।


টমেটো আমরা ছোট বেলায় খেতাম কত সুন্দর নরম আর স্বাদ অতান্ত সুস্বাদু কিন্তু এখন আমরা যে টমেটো পাই তা হলো শক্ত এবং লাল টক টকে যা খেতে কোন স্বাদ নেই ।আমি এর সুত্র খোজার চেষ্টা করলেও এখনো খুজে পাই নাই ।তবে আমি ব্যক্তিগত ভাবে সাদা কালারের কাঁচা টমেটো কিনে খাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী ।বর্তমান সময়ে আমরা মুনাফা অর্জনের চিন্তায় ব্যাস্ত এবং সেটা যেকোন উপায়ে।তবে এক্ষেত্রে কৃষকদের দোষ দিলে চলবে না । কৃষিতে লেখাপড়া করে যারা নাক ডেকে ঘুমাচ্ছেন দোষ টা তাদের দেবো ।আমি একজন কৃষক হিসেবে বলছি তারা ইচ্ছা করলে এইগুলো বন্ধ করতে পারে  । কৃষিতে জৈব সারের ব্যাপক ব্যাবহার রাসায়নিক সারের ব্যাবহার ব্যাপক কমিয়ে দিতে পারে যা আমাদের স্বাস্থ্য বৃদ্ধিতে গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করি ।


আপনি হয়ত ভাবছেন সবজীর সাথে এই সামান্য ঔষধ খেলে কি হবে তাইলে বলব ভুল ভাবছেন ।এগুলো সব ই আমাদের চিন্তা ভাবনার ব্যাপার ।উন্নত দেশ গুলো কেনো উন্নত জানেন ?তাদের চিন্তা আর আমাদের মত গরীব দেশের মানুষের চিন্তায় বহুত তফাৎ।অর্থাৎ তারা যেভাবে চিন্তা করে আমরা মোটেও সে ভাবে চিন্তা করি না ।আর একারণেই শুধু স্বাস্থ্য নয় অর্থনীতি ,প্রযুক্তি সব ক্ষেত্রেই তারা এগিয়ে ।তারা ব্যাক্তি গত ভাবে স্বাস্থ্যের জন্য যত টাকা খরচ করে আমাদের দেশের কোন মানুষ ই তা করে না ।আমাদের দেশের মানুষের গড় আয়ু আজ ৬০ বছর এর উপরে এই সব  ই কিন্তু ওই উন্নত দেশের হাত ধরে ।এক্ষেত্রে ও সরকারের অবদান  ই সবচেয়ে বেশি। কেননা সরকার উন্নত দেশের তত্ত্ব গুলো তাদের নানান কার্যক্রমের মাধ্যমে জনগনের উপর প্রয়োগ করেছেন ।সুতরাং আপনি সুস্থ থাকবেন কি অসুস্থ থাকবেন তা আপনার মানসিকতার উপর নির্ভর করবে ।

আপনারা গাজর, মুলা, মিষ্টি কুমড়া ,পাতা কফি, লাউ, কুমড়া এইগুলো নিশ্চিন্তে খেতে পারেন । 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ