গুঁড়া মরিচ আমাদের দৈনন্দিন রান্নায় ব্যাবহার না করলে একদিন ও চলে না । আমরা মূলত খাবারে স্বাদ বৃদ্ধি করতে এই গুঁড়া মরিচ ব্যাবহার করে থাকি । আমাদের দেশে নানা জাতের মরিচ চাষ হয় ।কোন মরিচে ঝাল বেশী কোন মরিচে ঝাল কম কোনটা আবার মাঝামাঝি ।সবচেয়ে বেশি ঝাল মরিচ যদি গুঁড়া করা হয় তাহলে তা তরকারি তে দিলে খুব বেশি স্বাদ হয় না ।একধরনের চিট্মিটে ঝাল হয় তরকারি । কিন্তু বেশি ঝাল মরিচের সাথে যদি মাঝারি ঝালের মরিচ একসাথে গুঁড়া করা করা হয় তাহলে ঐ মরিচের গুঁড়া তরকারিতে ব্যাবহার করা হলে তরকারি বেশি স্বাদ হয় সেই সাথে তরকারির কালার টাও সুন্দর হয় ।তাই ভালো মানের মরিচের গুঁড়া সবাই বানাতে পারে না ।একারণে বাজারে নানান রকমের মরিচের গুঁড়া পাওয়া যায় ।
গুড়া মরিচে ভেজাল গুরা মরিচে ভেজাল হিসেবে আঁটা বা ময়দা,ইটের গুঁড়া হলুদের গুঁড়া প্রভৃতি আরো অনেক কিছু মিশ্রিত করা যেতে পারে তবে এর কোন সত্যতা আমরা এখনো খুজে পাই নি ।সবাই মুখে বলে তাই ।কিন্তু যারা বিক্রি করেন তারা এ ব্যাপারে কেউ কিছু বলতে চান নি ।
তরকারিতে স্বাদ কালার এগুলো রাধুনীর উপর নির্ভর করে । শুকনো মরিচ দিয়ে সাধারনত গুঁড়া মরিচ বানানো হয় কিন্তু শুকনা মরিচের তুলনায় কাচা মরিচে ভিটামিন অক্ষুণ্ণ থাকে ।তাই তরকারি তে শুকনো মরিচের পাশাপাশি কাঁচা মরিচ ব্যাবহার করলে তরকারি বেশি স্বাদ হয় ।তবে হ্যাঁ বিভিন্ন প্রয়োজনে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে গুঁড়া মরিচ ছাড়া আমাদের চলে না ।
ভালো মানের গুঁড়া মরিচের জন্য প্রথমে পাকা মরিচ সংগ্রহ করে ভালো পরিবেশে রোদে শুকাতে হয় ।এরপর মরিচ গুলোর বোঁটা খোসানো হয় ।এই মরিচ গুলো মেশিনে ভাঙ্গিয়ে গুঁড়া করা হয় এবং তা বাজারজাত করা হয় ।আপনারা আমাদের কাছ থেকেও মরিচের গুঁড়া সংগ্রহ করতে পারেন ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
0
মন্তব্যসমূহ
টাকার চেয়ে জীবনের মূল্য মনে হয় একটু বেশিই ।ফল ত খাবই এবার ফরমালিন ছাড়াই খাব ।
0 মন্তব্যসমূহ