অনলাইনে প্রাকৃতিক চাকের মধু বিক্রি


 অনালাইনে যারা মধু ক্রয় করেন তাদের বেশির ভাগ ই বলেন মধুতে ভেজাল আছে । এই কথা আমি বিশ্বাস করতে পারতাম না যদিও বহুদিন থেকেই মধু খাই বা মধুর সাথে আছে বা নানান জায়গাতে নানান ভাবে মধুর খাটিত্ত প্রমানের বিষয় গুলি দেখে আসছি । অনলাইনে যারা মধু বিক্রি করছেন তারা বলতে পারেন ভালোই বা সৎ ।কিন্তু সবাই ত আর নিজে চাক ভাঙ্গে না ।কোন না কোন সোর্স থেকে মধু সংগ্রহ করে ।এই সোর্স গুলো এমন ই আপনার চোখের সামনে চাক ভেঙ্গে দিবে কিন্তু তাতে ভেজাল থাকবে ।ঠিক আপনারা জাদুকরদের কাছে যেমন আপনার সামনে টাকা মিস্টি বানাতে দেখেন এখানেও ঠিক একই কাজ করা হয় ।একজন মৌয়ালের সারাদিনে ২ কেজি মধু সংগ্রহ করাই কঠিন সেখানে কোন কোন মৌয়াল ১০,১৫,২০ কেজি মধু সংগ্রহ করে এই মধু আপনার চোখের সামনেই সংগ্রহ করবে ।এই গল্প আমার না একজন অনলাইন মধু বিক্রেতার ।তিনি নিজে মোয়ালদের সাথে থেকে চাক সহ মধু সংগ্রহ করেন । তিনি দেখেন মৌয়াল যে চাকেই উঠে সেই চাক থেকেই ৪-৫ কেজি মধু নিয়ে নামেন ।কিন্তু একটা চাক খুব ভালো হলে ত ২ কেজি মধু পাওয়াই মুশকিল ।যাইহোক ভালো মৌয়াল ও আছে ।তাই আপনাদের ভালো পণ্য নয় ভালো বিক্রেতাকে খুঁজতে হবে ।


বি এস টি আই
মধুতে বি এস টি আই কোন ব্যাপার না । বি এস টি আই দিয়ে মধুর খাটিত্ত বা ভালত্ত  নির্ণয় করা যাবে না ।মৌমাছির স্পর্শ ছারাই মধু বানিয়ে বি এস টি আই এর শর্ত সমূহ পুরন করা যায় ।তবে দেশের আইন কানুন মেনে চলা আমাদের অবশ্য কর্তব্য ।ধর্ম ও আমাদের এ বিষয়ে আদেশ করে । 

বর্ষাকালে মধু   
 এই সময় আমাদের কাছে  ভালো মধু নাই তাইবলে আমাদের মৌয়াল সংখ্যা কম এমন ভাবার কারন নাই ।বরষা কালের মধুর মান খারাপ,এই সময় ফুল কম থাকে এবং বৃষ্টির কারনে মৌমাছি মধু সংগ্রহ করতে পারে না আবার মধু ভাঙ্গা যায় না । 

  
মধু যারা অনলাইনে বিক্রি করছেন সোর্স বাদে মানে যারা সোর্স দের কাছ থেকে নিয়ে বিক্রি করছেন তাদের বলব আপনারা জেনে বুজে মধু সংগ্রহ করবেন ।নতুবা ফাঁকি দিয়ে প্রথমবার বিক্রি করলেন পরেরবার ?এতে করে মানুষ অনলাইনে কেনাকাটার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে ।
যে মধুর দাম কম সেই মধুতেই ভেজাল আছে ।একজন মৌয়াল কনদিন ও সারাদিন ঘুরে ১ কেজি মধু সংগ্রহ করে কোনোদিনও আপনাকে ৩০০-৪০০ টাকা কেজি তে দিবে না আবার প্রতিদিন ত মধু পাওয়াও যায় না ।


মধু সোনা দিয়ে মোড়ানো নয় কিন্তু ভালো মধুর দাম সোনার মতই । 



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ