আমারা যে চাল খাই তা কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত তা এই পোস্ট পরলে আপনি নিজেই বুজে যাবেন আমাকে আর বুজিয়ে দিতে হবে না ।এখানে কোন প্রমান দেওয়া হবে না তবে যুক্তি প্রদান করা হবে ।চাল বিষয়ে জানতে আমার বেশ কিছুদিন ঘুরতে হয়েছে যেতে হয়েছে ধান সিদ্ধ করার খলায় , ধান ভাঙ্গানোর মিলে কথা বলতে হয়েছে শ্রমিক ,ব্যাপারী ও চাল বিক্রেতাদের সাথে । যে তথ্য গুলো আমি আজ আপনাদের সাথে ভাগাভাগি করতে যাচ্ছি তা আমাকে সংগ্রহ করতে হয়েছে এক মাস চেষ্টা করার মাধ্যমে ।কিন্তু আজ আপনি তা কয়েক মিনিটেই জেনে যাচ্ছেন ।
প্রশ্ন হল আপনি যে চাল খাচ্ছেন তা ভেজাল না খাঁটি ?
আমারা বাজারে ভেজাল ছাড়া কোন চাউলের সন্ধান পাইনি ।ভেজাল টা হলো এরকম যে বাজারে বেশি প্রচলিত ধান গুলো হলো মিনিকেট,আঠাশ, ঊন ত্রিশ,মিনি আটচল্লিশ,স্বর্ণা বাসমতী ,কাটারি ,এইগুলো ।এর মধ্যে মিনিকেট,আঠাশ,ঊন ত্রিশ,আটচল্লিশ এই চাল গুলোতে সমস্যা ।সবচেয়ে বেশি ভেজাল মিনিকেটে কারন এই চাউলের দাম সবচেয়ে বেশি ।বাজারে আঠাশ নামে কোন চাউল পাওয়া যায় না ।আঠাশের চাউলের দাম মিনিকেটের চেয়ে একটু কম হওয়াতে এই আঠাশ চাউল টা মিনিকেট হিসেবে বিক্রি হচ্ছে এর সাথে আবার ঊন ত্রিশ ও মিশানো হচ্ছে ।এভাবে মনে করেন মিনিকেট হচ্ছে ।মিনিকেট নামে আসলে কোন ধান নেই ।এই কয়েক প্রকার ধানের মিশ্রণে মিনিকেট । খাটি বা ভেজাল বিহীন মিনিকেট হয় মুলত জিরা নামক ধান থেকে যা মুলত নওগাঁ জেলাতে উৎপাদন হয় ।আটচল্লিশ ও ঊনত্রিশ মিলে ঊনত্রিশ বাবানো হচ্ছে।ঊনত্রিশ বানানো হচ্ছে মিনিকেট অথবা আঠাশ আর আঠাশ ত মিনিকেট ।সিজনের সময় মিনিকেট ভেজাল থাকলেও আঠাশ চালে ভেজাল থাকে না । তবে বাসমতী ও কাটারি ভোগে তারা ভেজাল দিতে পারেন না বলে জানিয়েছেন ।
বড় চাউল কেটে ছোট চাউল বানানোর কথা সম্পূর্ণ ভুল ।এরকমের কোন মেশিনের খবর আমরা কথাও খুজে পাইনি । আপনারা কেউ খুজে পেলে আমাদের জানাবেন ।
নাজির ,নাজির শাল বা নাজির শাইল চাল কি ?
ধান এক সিদ্ধ এবং দুই সিদ্ধ হয়। যে ধান কে একবার সিদ্ধ করে চাল করা হয় তাকে নাজির ,নাজির শাল বা নাজির শাইল চাল বলে । নাজির চাউলের দাম একটু বেশি হয় কেন জানেন ? এই ধান টা ভাঙ্গানোর সময় চাউলের অপচয় একটু বেশি হয় ।নাজির চাউল চেনার উপায় হল এই চাউলের পেট সাদা হয় ।
হাস্কিং মিল এবং অটো রাইচ মিল
সাধারনত এই দুই মিলের মাধমে ধান থেকে আমরা চাউল পাই ।এই দুই মিলের মধ্যে হাস্কিং মিলের চাউল স্বাস্থ্যসম্মত যদি না মরা চাউল,লাল চাউল পাথর বাছাই করন বা ইংরেজি সর্টিং আউট মিশিনে না দেওয়া হয় । অটো মেশিনের চাউল একেবারে সর্টিং আউট বা বাছাই হয়ে আসে তাই তা স্বাস্থ্যসম্মত না।
অটো মিলের চাউল সকালে রান্না করলে রাতেও খাওয়া যায় কিন্তু হাস্কিং মিলের চাউল দুপুর পর্যন্ত খাওয়া যেতে পারে । সবাই আরাম খুজে একাবার রান্না করে দুইদিন খাওয়ার চিন্তা করে তাই সবাই অটো রাইচ মিলের চাল খায় ।
চাল সুন্দর, চকচকে ,পাথর বাছাইকরন বা সর্টিং আউট
এই কাজ করার সময় আমরা মনে করি নানান রকম রাসায়নিক মিশানো হয় ।কিন্তু এই কথার কোন প্রকার সত্যতা আমরা খুজে পাইনি ।চাউল পানিতে ভেজানোর পর একটু প্রেশার দেওয়ার ফলে চাল চকচকে তেলতেলে বা প্লাস্টিকের মত দেখায় ।
এখন দেখবেন কোন চাল সাস্থসম্মত নয়
চাল যখন বাছাই করা হয় তখন আর কুলা দিয়ে বা চোখ দিয়ে দেখে মরা চাল,লাল চাল বা পাথর বাছাই করা হয় না ।কারন মেশিনের ত আর চোখ নেই ।তাইলে মেশিন ঐ চাউল মানে মরা ,লাল চাউল কেমনে চিনে এখানে রঞ্জন রশ্মির মত ক্ষতিকর রশ্মি প্রয়োগ করা হয় ।এই রশ্মি প্রয়োগের মাধ্যমে চাল সর্টিং আউট করা হয় ।
বাংলাদেশে যারা অনেকেই দেশের বাহিরের ব্র্যান্ড এর চাউল খায় ।
ভালো জিনিস খেতে হলে টাকা দিয়েই খেতে হবে ।অনেকেই ভাবে বাজারে চাল ৪০ টাকা কেজি আপনাকে কেনো ৮০ টাকা দেব ।হাস্কিং মিলে পরিদর্শন করার অনুরধ রইল ।হাস্কিং মিলে কিভাবে চাউল হয় তা আরেকটি পোস্টে দেখাব ভিডিও সহ ।ভালো থাকবেন সবাই ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
0
মন্তব্যসমূহ
টাকার চেয়ে জীবনের মূল্য মনে হয় একটু বেশিই ।ফল ত খাবই এবার ফরমালিন ছাড়াই খাব ।
0 মন্তব্যসমূহ