কিভাবে গাভী হিটে আসবে

 গাভী হিটে আসার ব‍্যাপারে বিভিন্ন বিষয় কাজ করে । অনেকেই হয়ত জানতে চাইবেন একটা গাভী কত বছর বয়সে হিটে আসতে পারে। এর সঠিক বয়সীমা বলতে গেলে দুই বছর বয়সে স্বাভাবিক ভাবে গাভী হিটে আসার কথা। কোন কোন গাভী আঠারো মাস বা খুব ব‍্যাতিক্রম হলে একবছরেও হতে পারে। এটা খুবই নগন‍্য ব‍্যাপার। নানা করনেই গরু হিটে আসতে দেরী করে। আমাদের দেশের মানুষ কৃষিকে অবহেলার চোখে দেখে। অনেকের ই কৃষি বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান নেই যার করনে গাভীকে পুষ্টিকর খাবার দিতে পারে না। আবার অনেকে দারিদ্রতার করনে পারে না। একটা গাভী যখন তার প্রয়োজন অনুযায়ী ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার পাবে তখন তার বৃদ্ধি স্বাভাবিক হবে। আন‍্যদিকে  যদি প্রয়োজনীয় উপাদান মিশ্রিত খাবার না দেওয়া যায় তাহলে গরুর বিভিন্ন অঙ্গের বৃদ্ধিতে নানান রকম প্রতিবন্ধকতা তৈরি হবে। ঠিক একই রকম ভাবে কোন একটা ভিটামিনের অভাবে গাভী হিটে আসে না। এই ভিটামিনের নাম হল: ভিটামিন "ই"। এটিই হিটে না আসার মূল কারন। তবে এর সাথে আরো কয়েকটি কাজ করতে যেমন :


১.গরু কে প্রথমে কৃমির ঔষধ খাওয়াতে হবে।

কৃমির ঔষধ হিসেবে আমার পরামর্শ হলো : ভারমিক ইন্জেকশন ও নাইট্রনিক্স (সবচেয়ে ভাল)

অথবা ট‍্যাবলেট রেনাডেক্স (উভয়টাই ওজন অনুসারে খাওয়াবেন ও পুশ করবেন )

কৃমির ঔষধ দেওয়ার একদিন পর থেকে 

লিভারটনিক ও জিংক( গরুর ওজন অনুসারে খাওয়াবেন )

কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়ানোর একসপ্তাহ পর থেকে আপনি বাজার থেকে কাঁচা ছোলা কিনে নিয়ে যাবেন। প্রতিদিন সকালে ১৫০গ্রাম ছোলা ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে সারাদিন রাখবেন। সন্ধার সময় ছোলার পানি ফেলে দিয়ে ঐ পাত্রেই সারারাত রেখে দিবেন। সকালে ছোলার থেকে কুশি বের হলে এই ছোলা খালি পেটে গরুকে খাওয়াবেন। প্রতিদন এভাবে ১৫দিন খাওয়াবেন এর পর গরু হিটে না আসলে আপনি একজন ভেটেরিনারি সার্জন দেখাবেন।

প্রতিদিন গাভীকে নূন‍্যতম এক কেজি গমের মোটা ভূসি খাওয়াবেন। তবে যত বেশি পরিমান খাওয়াবেন তত ভাল। গমের ভুসি বেশি খাওয়ালে কোন সমস‍্যা নাই। একটা বড় গরুকে দশ কেজিও দিতে পারেন।

ভাত বা খুদ না খাওয়ানোই ভাল। সমান‍্য পরিমান তিলের খৈল দেওয়া যেতে পারে তবে গোবর নরম হলে কোনভাবেই খৈল খাওয়ানো যাবে না।

ঘাস কিছুক্ষণ রোদে শূকিয়ে খাওয়াবেন।

আপনার পশুকে নিয়মিত কৃমিনাশক খাওয়ান।




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ